Kolkata Rainfall CESC : 'কারেন্ট থাকবে না যতক্ষণ না...' কলকাতায় দুর্যোগের মাঝেই বড় বার্তা CESC-র

 

Kolkata Rainfall CESC : 'কারেন্ট থাকবে না যতক্ষণ না...' কলকাতায় দুর্যোগের মাঝেই বড় বার্তা CESC-র



জেলা থেকে শহর ভয়াবহ পরিস্থিতি। জলে ভাসছে মানুষ ও পশুর দেহ। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন না করলে দেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

তুমুল বৃষ্টি । জলমগ্ন শহর। দিকে দিকে মৃত্যু । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বহু মানুষ ।  জেলা থেকে শহর ভয়াবহ পরিস্থিতি। জলে ভাসছে মানুষ ও পশুর দেহ। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন না করলে দেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না।  মূলত কলকাতা ও হাওড়া শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেয় সিইএসসি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও এই মর্মান্তিক পরিণতির দায় অনেকটাই ঠেলেছেন সিইএসসির ঘাড়ে। বলেছেন, 'আমার সঙ্গে CESC-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথা হয়েছে। এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে, কিন্তু CESC সতর্কভাবে কাজ করছে না, এভাবে যেন মানুষের প্রাণ না যায়'। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ বার্তা দিল সিইএসসি।

সিইএসসি-র  বার্তা, ' জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পর্যাপ্ত সতর্কতার বিষয় হিসেবে, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে চরম জলাবদ্ধতার কারণে, কিছু এলাকায় সরবরাহ সক্রিয়ভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমরা তখনই বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করতে পারব যখন সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাবে যে জল নিরাপদ স্তরে নেমে গেছে। দয়া করে মনে রাখবেন, রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্রাফিক লাইটগুলি CESC-এর মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালিত নয়। আমাদের দল দিনরাত কাজ করছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমরা সবসময়ই সংস্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। দয়া করে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
দয়া করে যত্ন নিন এবং নিরাপদে থাকুন।'

এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক, মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা। আমার সঙ্গে CESC-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথা হয়েছে'
। এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু CESC সতর্কভাবে কাজ করছে না। এভাবে যেন মানুষের প্রাণ না যায়। CESC-কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চাকরিও দিতে হবে। রাজ্য সরকারও মৃতদের পরিবারের পাশে আছে। জীবনের বিকল্প অর্থ হয় না। পুজোর আগে এতগুলো জীবন চলে গেল' । 

উৎসবের ঠিক আগে আচম্বিতে আসা দুর্যোগে কার্যত মৃত্যুমিছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও শহরে। খোলা তারের বলি হয়েছে ১০ টি প্রাণ। শেক্সপিয়র সরণিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর মিলেছে। কলকাতায় খোলা তারের বলি হয়েছেন মোট  ৮ জন।  শাসনে মৃত্যু হয়েছে  ১ জনের। বিষ্ণুপুরে মারা গিয়েছেন ১জন। 


Previous Post Next Post